2014:
" প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস
তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ। "
না আট বছর আগের সেদিন দিনটা চৈত্র মাসের ছিলনা , ছিল অগ্রহায়নের হিমানী বেলা । সত্যি বলতে প্রথম দেখা ও ছিল না... সেটা আর ও বছর ছয়েক আগের কথা , সর্বনাশ ও যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল সে দিনের বছর চারেক আগে , হৃদি ভেসে গিয়েছিল আলোকানান্দার জলে । কিন্তু সেদিনের দেখা ছিল বাকি সব দিনের থেকে আলাদা । দেখতে দেখতে আট টা বছর কেটে গেল। তোমার প্রথম উপহার জয় গোঁসাই এর "পাগলী, তোমার সঙ্গে " কবিতাটা বেঁধে দিয়েচ্ছিলো আমাদের দুজনের পথ চলার সুর... সেভাবেই কেটেছে আট টা বছর ... কাটাতে চাই আর ও আট টা জন্ম একসাথে....পাগলী তোমার সঙ্গে |||
Happy Anniversary!!!
2016:
"শহরের উষ্ণতম দিনে ,পিচ গলা রোদ্দুরে
বৃষ্টির বিশ্বাস, তোমায় দিলাম আজ !!
আর কি বা দিতে পারি ,পুরোনো মিছিলে পুরানো ট্রামেদের সারি ,
ফুটপাথ ঘেঁষা বেলুন গাড়ি !
সুতো বাঁধা যত লাল আর সাদা ,
ওরাই আমার থতমত এ শহরের রডোডেনড্রন ,
তোমায় দিলাম আজ !!! "
আর কি ই বা দিতে পারি, যা দেওয়ার তা দিয়েছি তো একযুগ আগেই, তোমার হাত পাকাপাকি ভাবে ধরেছি দশ বছর আগেই , ঠিক এই দিন টাতে যদিও এক সাথে চলার স্বপ্ন দেখেছি আরো আগে থেকেই |
দেখেছি অনেক উত্থান পতন, ঠিক যেমন উল্লেখ ছিল তোমার প্রথম উপহার জয় গোস্বামী র " পাগলী তোমার জন্য " কবিতা তে |
"সন্ধেবেলা ঝগড়া হবে, হবে দুই বিছানা আলাদা
হপ্তা হপ্তা কথা বন্ধ মধ্যরাতে আচমকা মিলন
পাগলী, তোমার সঙ্গে ব্রক্ষ্মচারী জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে আদম ইভ কাটাব জীবন।"
তোমার চলার পথে ফুল যেমন বিছিয়েছি , তেমন হয়েছি কাঁটা ও | কখনো ক্ষত হয়েছি তোমার মনে , কখনো বা ক্ষতের প্রলেপ |
তবে একটা উপহার দিতে চাই, যেটা তোমাকে দিয়ে এসেছি প্রথম দিন থেকেই, সেটা হলো শব্দগুচ্ছ | আর সেটার জন্য আর শব্দ ধার করবো না , এ একান্ত ই আমার মনের কথা ! কথা দিয়ে ঘর বুনেছি আমার, তোমার মনে , সেই ১ দশক আগে থেকেই , তবে কথা গুলো শুধু শব্দ নয়, এগুলো এক করলে একটা মানুষের অবয়ব পাবে , যার স্পর্শ, গন্ধ সব ই তোমার চেনা | আজকের উপহারে আবার সেই আমাকেই তুলে দিলাম তোমার হাতে , শব্দের আধারে , যাতে থাকবে সেই অঙ্গীকার যা ছিল এক দশক আগে, যা চিরন্তন | যা নবোদিত সূর্যের মতোই নতুন, রোজ ওঠে তবু পুরোনো হয়না , নতুন সকাল নিয়ে আসে, পুরোনোর জীর্ণতা তাকে ছুঁতে পারেনা, !!!!
নদীর গর্ভে বিলীন দিন গুলো
কালের ভাঙ্গন রুখবে কোন বাঁধ !
আমাদের ছুঁয়ে স্বপ্নেরা পাখা মেলো
পথ চলাতে মিটলো সকল সাধ |
উড়তে গেলে পাখারা ক্লান্ত হবেই
ঠোঁটে আমি তাই নিয়েছি খড়কুটো
ঘর বেঁধেছি মনের ভেতর কবেই
আজকে জিরোবো আমরা ক্ষণ দুটো |
একটা দুটো তিনটে এমনি করে
শীত পেরিয়ে বসন্ত এলো ঘিরে ,
দশটা শীতের বিষন্ন পাতা ঝরে
নব পল্লব আলো করে এলো নীড়ে |
চলেছি আমরা, থামবোনা কারো খোঁজে ,
আসুক তুফান, আসুক যতই বাণ,
ঘাসের সুবাস বুকের ভেতর গুঁজে
দশক পেরোলো , পথ তবু অফুরান |
~অরিন্দম
#শুভ #বিবাহবার্ষিকী
#DecadeOfTogetherness
2018:
বলো কী বলব, আদালত, কিছু বলবে কি এরপরও?
— ‘যাও, আজীবন অশান্তি ভোগ করো!’
অশান্তি ভোগের বারো বছর কেটে গেল, বারো বছরে যুগ বদলে যায় বোধকরি, আমরাও কিছুটা বদলেছি, বদলায়নি জীবনের সমীকরণ।
পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবন।
এই একই সমীকরণ এর সমাধান করে চলেছি, যার সমাধান না করা টাই সেরা সমাধান। চার হাত এক হওয়ার পর থেকে ঠোকাঠুকি যে শুরু হয়েছিল (সত্যি বলত কি শুরুটা আরো আগেই হয়েছিল, চার হাত টাই শুধু এক হয়েছিল সেদিন) সেটা যে শাশ্বত হবে সেটাই স্বাভাবিক।
বোধ করি সেটাই আমাদের সম্পর্কের হৃৎস্পন্দন।
তুমি ছুঁড়বে থালা বাটি, আমি ভাঙ্গব কাঁচের বাসন
পাগলী, তোমার সঙ্গে বঙ্গভঙ্গ জীবন কাটাব।
সন্ধাবেল ঝগড়া হবে, হবে দুই বিছানা আলাদা
হপ্তা হপ্তা কথা বন্ধ মধ্য রাতে আচমকা মিলন।
এবার লেখাটা শুধু দ্বন্দ্ব নিয়েই চলছে নিজের খেয়ালে তবে দ্বন্দ্ব মানে দ্বি ও দ্বি । মানে দুজনেই, জোড়া ।
আমাদের কবিতা তো দুজনের জীবনের রোজনামচা, তাই এ কাব্য একপেশে হলে চলবে কি করে? তবে দ্বন্দ্ব শেষে আকাশে নেমে আসে ভোরের শিশির ধোওয়া আলোর বিন্দু, দুজনের চলার পাথেয় সঞ্চয় করে নি, খড়কুটো নিয়ে উড়ে যায় আবার ।
সাথে থাকে অঙ্গীকার , না এবার আর ধার করা কবিতা নয়, নিজের শব্দই রইল :
উড়তে গেলে পাখারা ক্লান্ত হবেই
ঠোঁটে আমি তাই নিয়েছি খড়কুটো
ঘর বেঁধেছি মনের ভেতর কবেই
আজকে জিরোবো আমরা ক্ষণ দুটো |
চলেছি আমরা, থামবোনা কারো খোঁজে ,
আসুক তুফান, আসুক যতই বাণ,
ঘাসের সুবাস বুকের ভেতর গুঁজে
যুগ পেরোলো , পথ তবু অফুরান |
#শুভ_বিবাহবার্ষিকী
#Happy_Anniversary
#12Years_Of_Togetherness
2020:
" প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস
তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ। "
না ১৪ বছর আগের সেদিন দিনটা চৈত্র মাসের ছিলনা , ছিল অগ্রহায়নের হিমানী বেলা । সত্যি বলতে প্রথম দেখা ও ছিল না... সেটা আর ও বছর ছয়েক আগের কথা , সর্বনাশ ও যা হওয়ার হয়ে গিয়েছিল সে দিনের বছর চারেক আগে , হৃদি ভেসে গিয়েছিল আলোকানান্দার জলে । বেঁধে দিয়েছিল আমাদের চলার পথ -
পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি
আমরা দুজন চলতি হওয়ার পন্থী।
কিন্তু সেদিনের শুভ দৃষ্টির মুহূর্তে সেই দেখা ছিল বাকি সব দিনের থেকে আলাদা । দেখতে দেখতে ১৪ টা বছর কেটে গেল।
"শহরের উষ্ণতম দিনে ,পিচ গলা রোদ্দুরে
বৃষ্টির বিশ্বাস, তোমায় দিলাম আজ !!
আর কি বা দিতে পারি ,পুরোনো মিছিলে পুরানো ট্রামেদের সারি ,
ফুটপাথ ঘেঁষা বেলুন গাড়ি !
সুতো বাঁধা যত লাল আর সাদা ,
ওরাই আমার থতমত এ শহরের রডোডেনড্রন ,
তোমায় দিলাম আজ !!! "
আর কি ই বা দিতে পারি, যা দেওয়ার তা দিয়েছি তো একযুগ আগেই, তোমার হাত পাকাপাকি ভাবে ধরেছি ১৪ বছর আগেই , ঠিক এই দিন টাতে যদিও এক সাথে চলার স্বপ্ন দেখেছি আরো আগে থেকেই |
দেখেছি অনেক উত্থান পতন, ঠিক যেমন উল্লেখ ছিল তোমার দেওয়া প্রথম উপহার জয় গোস্বামী র " পাগলী তোমার জন্য " কবিতা তে |
"সন্ধেবেলা ঝগড়া হবে, হবে দুই বিছানা আলাদা
হপ্তা হপ্তা কথা বন্ধ মধ্যরাতে আচমকা মিলন
পাগলী, তোমার সঙ্গে ব্রক্ষ্মচারী জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে আদম ইভ কাটাব জীবন।"
তোমার চলার পথে ফুল যেমন বিছিয়েছি , তেমন হয়েছি কাঁটা ও | কখনো ক্ষত হয়েছি তোমার মনে , কখনো বা ক্ষতের প্রলেপ |
তুমি ছুঁড়বে থালা বাটি, আমি ভাঙ্গব কাঁচের বাসন
পাগলী, তোমার সঙ্গে বঙ্গভঙ্গ জীবন কাটাব।
মিলন নিয়ে লিখতে বসার পর লেখাটা হঠাৎ দ্বন্দ্ব নিয়েই চলতে শুরু করেছে নিজের খেয়ালে !! তবে দ্বন্দ্ব মানে "দ্বি ও দ্বি " । মানে দুজনেই, জোড়া । পদার্থ বিদ্যা মতেও "দ্বন্দ্ব " অর্থাৎ "Couple" হল a system of forces with a resultant moment which create a roration.
আমাদের এই দ্বন্দ্ব এর reslutant moment হল আমাদের এই দিবা - রাত্রির কাব্য যা আবর্তিত হয় দুজনের দ্বন্দ্ব নিয়ে আর সেটাই তো আমাদের দুজনের জীবনের রোজনামচা, তাই এ কাব্য একপেশে হলে চলবে কি করে?
তবে দ্বন্দ্ব শেষে আকাশে নেমে আসে ভোরের শিশির ধোওয়া আলোর বিন্দু, দুজনের চলার পাথেয় সঞ্চয় করে নি, খড়কুটো নিয়ে উড়ে যায় আবার ।
বলো কী বলব, আদালত, কিছু বলবে কি এরপরও?
— ‘যাও, আজীবন অশান্তি ভোগ করো!’
অশান্তি ভোগের ১৪ বছর কেটে গেল, ১৪ বছরে যুগ বদলে যায় বোধকরি, আমরাও কিছুটা বদলেছি, কিন্তু বদলায়নি জীবনের সমীকরণ।
পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবন।
এই একই সমীকরণ এর সমাধান করে চলেছি, যার সমাধান না করা টাই সেরা সমাধান। চার হাত এক হওয়ার পর থেকে ঠোকাঠুকি যে শুরু হয়েছিল সেটা যে শাশ্বত হবে সেটাই স্বাভাবিক।
বোধ করি সেটাই আমাদের সম্পর্কের হৃৎস্পন্দন।
তবে একটা উপহার আজ দিতে চাই, যেটা তোমাকে দিয়ে এসেছি প্রথম দিন থেকেই, সেটা হলো শব্দগুচ্ছ | আর সেটার জন্য আর শব্দ ধার করবো না , এ একান্ত ই আমার মনের কথা ! (যদিও নতুন লেখা নয়, বরং মনের কাছের একটি পুরোনো লেখা)
কথা দিয়ে ঘর বুনেছি আমার, তোমার মনে , সেই প্রায় দেড় দশক আগে থেকেই , তবে কথা গুলো শুধু শব্দ নয়, এগুলো এক করলে একটা মানুষের অবয়ব পাবে , যার স্পর্শ, গন্ধ সব ই তোমার চেনা | আজকের উপহারে আবার সেই আমাকেই তুলে দিলাম তোমার হাতে , শব্দের আধারে , যাতে থাকবে সেই অঙ্গীকার যা ছিল দেড় দশক আগে, যা চিরন্তন | যা নবোদিত সূর্যের মতোই নতুন, রোজ ওঠে তবু পুরোনো হয়না , নতুন সকাল নিয়ে আসে, পুরোনোর জীর্ণতা তাকে ছুঁতে পারেনা, !!!!
নদীর গর্ভে বিলীন দিন গুলো
কালের ভাঙ্গন রুখবে কোন বাঁধ !
আমাদের ছুঁয়ে স্বপ্নেরা পাখা মেলো
পথ চলাতে মিটলো সকল সাধ |
উড়তে গেলে পাখারা ক্লান্ত হবেই
ঠোঁটে আমি তাই নিয়েছি খড়কুটো
ঘর বেঁধেছি মনের ভেতর কবেই
আজকে জিরোবো আমরা ক্ষণ দুটো |
একটা দুটো তিনটে এমনি করে
শীত পেরিয়ে বসন্ত এলো ঘিরে ,
পুরোনো শীতের বিষন্ন পাতা ঝরে
নব পল্লব আলো করে এলো নীড়ে |
চলেছি আমরা, থামবোনা কারো খোঁজে ,
আসুক তুফান, আসুক যতই বান,
ঘাসের সুবাস বুকের ভেতর গুঁজে
দশক পেরোলো , পথ তবু অফুরান |
~অরিন্দম
#শুভ #বিবাহবার্ষিকী
#HappyAnniversary
No comments:
Post a Comment